শহীদ দিবস পালন কালনায় , পদযাত্রা শহরে

3rd July 2021 8:52 am বর্ধমান
শহীদ দিবস পালন কালনায় , পদযাত্রা শহরে


বিশেষ সংবাদদাতা ( কালনা ) :  যতদিন সমাজের বুকে শোষণ-বঞ্চনা অত্যাচার থাকবে, ততদিনই কমিউনিস্ট ও লাল ঝান্ডা থাকবে।  কারো ক্ষমতা নেই কম্যুউনিস্ট বা লাল ঝান্ডাকে শেষ করার। যতই কর্পোরেট স্নেহধন্য মিডিয়ায়  প্রচার করা হোক না কেন -- কমিউনিস্ট পার্টি  শেষ হয়ে গেছে।  কালনা ষ্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত ৫০ তম  শহীদ দিবসের স্মরণ সভায় বলেন-- সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য অঞ্জু কর।   সভা পরিচালনা করেন পার্টির কালনা শহর এরিয়া কমিটির সম্পাদক ডাঃ গৌরাঙ্গ গৌস্বামী। কর বলেন--  আরএসএস পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার কর্পোরেট সংস্থার স্বার্থবাহী কাজ করে চলেছে। তাই নতুন কৃষি বিল, শ্রমিক বিল পাস করিয়ে কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে।  ভারতবর্ষের মানুষের  মধ্যে বিভাজন করতে  জাতিগত নাগরিক দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিজেপি বাংলা দখল করতে না পারলেও ৭৭ টি আসন দখল করে এ রাজ্যের বিরোধী দলের তকমা দখল করতে সমর্থ হয়েছে। এটা বাংলার পক্ষে অশনি সংকেত।  পূর্বে সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করতে গিয়ে শাররীক ভাবে নির্যাতিত হতো।  এখনও সেই  আক্রমণের ট্রাদিশন সমানে চলেছে। মানুষকে সংগঠিত করে  আক্রমনের মোকাবিলা করে সাধারণ মানুষের স্বার্থে আমাদের  কাজ করে যেতে হবে। কারন অত্যাচারীরা শেষ কথা বলে না, শেষ কথা বলে জনগন। স্মরণসভা শুরুর আগে পতাকা উত্তোলন, শহীদবেদিতে  মাল্যদান করে কালনার ৫২ জন শহীদকে শ্রদ্ধা জানান-- শহীদ পরিবার পরিজন ও বিভিন্ন  গণসংঠনের  নেতৃবৃন্দ।  ১৯৭১ সালের ২রা জুলাই রাত্রিবেলা এই কালনা ষ্টেশনেই কংগ্রেসি ঘাতক বাহিনীর হাতে শহীদ হন সি পি আই এমের  বর্ধমান জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মহাদেব ব্যানার্জি।  তাঁর আগে  ও পরে শহীদ হন আরো ৫১ জন সি পি আই এম নেতা ও কর্মী।  এই ৫২ জন শহীদকে স্মরণ করতে প্রতি বছর ২রা জুলাইকে শহীদ দিবস হিসাবে  নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করে আসছে  কালনার মানুষ।   এদিন সকাল ৮ টার মধ্যেই কালনা  ষ্টেশন চত্বরে জমায়েতের পর পতাকা উত্তোলন, শহীদ বেদিতে মাল্যদান, স্মরণ সভা শেষে শুরু হয় বর্ণাঢ্য মিছিল।   কালনা শহর পরিক্রমার পাশাপাশি রাস্তার পাশে থাকা শহীদবেদীগুলিতে মাল্যদান করা হয়।  শেষে কালনার চকবাজারে অবস্থিত শহীদ  মহাদেব ব্যানার্জির আবক্ষ মূর্তির পাদদেশে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। সেখানে মহাদেব ব্যানার্জির মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা  জানান নেতৃবৃন্দ। এখানে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা সুকান্ত কোনার।

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।